সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে সরকার নির্দিষ্ট তথ্য চায়নি বলে সুইস রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।
রবিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ দাবি করেন সংশ্লিষ্ট পক্ষের আইনজীবীরা। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আপনাদের উপস্থাপিত তথ্যের সাথে ওনার (রাষ্ট্রদূতের) দেয়া বক্তব্য যে সাংঘর্ষিক তার সত্যতা তো পাওয়া যাচ্ছে।একপর্যায়ে আদালত দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে তাদের আজকের উপস্থাপিত বক্তব্য এফিডেভিট আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান হাইকোর্টকে বলেন, ‘বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে দুদক “মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ ও “মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা-২০১৯ এর বিধানাবলীর আলোকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর নিকট নির্দিষ্ট ছক মোতাবেক অধিযাচন পত্র প্রেরণ করে। সে অধিযাচনপত্রের আলোকে বিএফআইইউ সংশ্লিষ্ট দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর সাথে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
দুদক ২০১৪ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনটি অনুসন্ধান/তদন্ত সংক্রান্তে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির তথ্য সুইজারল্যান্ড থেকে সংগ্রহের জন্য বিএফআইইউথকে অনুরোধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ দুদককে জানায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তির বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। এছাড়া অন্য দুটি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে বিএফআইইউ থেকে এই সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান দুদক আইনজীবী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক হাইকোর্টকে বলেন, ‘উনি (সুইস রাষ্ট্রদূত) যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়। ওনার বক্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।